বার্তা সংস্থা ইকনা: গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের টুইটারে প্রকাশ হয়েছে, সৌদি আরবের চলমান সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সমালোচনামূলক বক্তব্য দেয়ার অপরাধে গতকাল ‘মোহাম্মাদ বিন সৌদ’ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক শেখ নাসের আল-উমরকে আটক করা হয়।
২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে আল-উমরের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
শেখ নাসের আল-উমরকে গ্রেফতার করার সময় সৌদি কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েক জন মুবাল্লিগ, শিক্ষক এবং চরমন্থীদের গ্রেফতার করেছে।
যদিও টুইটারে মুফতির গ্রেফতারের হওয়ার কারণ সম্পর্কে কোন কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ গত বছর আগস্ট মাসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শেখ নাসের আল-উমরকে তলব করেছিল এবং তার নিকট হতে রাজনৈতিক বিষয় হস্তক্ষেপ না করার ব্যাপারে অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছিল।
শেখ নাসের আল-উমর সৌদি আরবের মুসলিম ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ পর্যন্ত তিনি চরমপন্থি এবং আশ্চর্যজনক ফতোয়া প্রদান করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, শিয়াদের জবাই করা এবং মাহারামের সাথে জিহাদুন নিকাহ করা ইত্যাদি।
সৌদি রাজা সালমানের ছেলে মুহাম্মাদ বিন সালমানকে দেশটির যুবরাজের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকে সৌদি আরবে বিরোধী মত প্রকাশকারীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অভিযান জোরদার হয়েছে। মুহাম্মাদ বিন সালমান মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের নীতি অনুসরণ করছেন। সৌদি প্রিন্স এ পর্যন্ত বহু প্রিন্স, আলেম, ব্যবসায়ী ও বুদ্ধিজীবীকে আটক করে কারাবন্দী করেছে।
সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ প্রতিক্রিয়া
সৌদি আরবে সক্রিয় সামাজিক কর্মীর গ্রেফতারের সূত্র ধরে সৌদি আরব ও কানাডার মধ্যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সৌদি আরবের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং সৌদি কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানিয়েছে এই নারী কর্মী যেন আইনি ভাবে যেন নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েক জন নারী অধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। বিশেষ করে যারা নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের প্রচারাভিযানে অংশগ্রহণ করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে।