বার্তা সংস্থা ইকনা: সৌদি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী- বিশ্বের ১৬৪টি দেশের ২০ লাখের বেশি মুসলমান মক্কা থেকে গতকাল (শনিবার) বিকেলে বাসে, গাড়িতে এমনকি হেঁটেও ১০ কিলোমিটার দূরে মিনায় পৌঁছেন।
তাঁদের মুখে ছিল তালবিয়া ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’। অর্থাৎ “হাজির হে আল্লাহ হাজির, আপনার মহান দরবারে হাজির। আপনার কোনো শরিক নেই। সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।”
আজ (১৯শে আগস্ট) সারাদিন এবং রাত তারা মিনায় তাঁবুতে কাটাবেন ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে দিয়ে। আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় তারা জিকির করবেন, নামাজ পড়বেন জামায়াতের সঙ্গে। মিনা এখন যেন তাঁবুর শহর। এসব তাঁবুতে প্রত্যেকের জন্য আলাদা জিনিসপত্র বরাদ্দ রয়েছে।
মহান প্রভুর কাছে হাজিরা দিতে আসা এই মুসলমানরা আগামীকাল (সোমবার) ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে থাকবেন। আরাফাতের ময়দান যেখানে দাঁড়িয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) মুসলিম উম্মাহর জন্য সামগ্রিক দিক-নির্দেশনামূলক বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই স্মৃতি বুকে ধরে হজযাত্রীরা এখানে ইবাদত বন্দেগিতে কাটিয়ে দেবেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এই ময়দানে তারা একসঙ্গে আদায় করবেন যোহর ও আসরের নামাজ। তার আগে খুৎবা দেয়া হবে পবিত্র মসজিদে নামিরা থেকে। আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়া ও সেখানকার ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করাকেই হজের প্রধান অংশ বলা হয়।
আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে সোমবার সন্ধ্যায় মুজদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ পড়বেন সমবেত মুসলমানরা। মুজদালিফায় রাতে থাকার সময় তারা পাথর সংগ্রহ করবেন, যা মিনার জামারায় শয়তানকে উদ্দেশ্য করে ছোড়া হবে। ১০ জিলহজ মঙ্গলবার ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন। মিনায় ফিরে সেই পাথর তারা প্রতীকী শয়তানকে লক্ষ্য করে ছুড়বেন। এরপর কোরবানি দিয়ে ইহরাম ত্যাগ করবেন এবং সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
মঙ্গলবার সৌদি আরবে ঈদুল আজহার দিন পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
উল্লেখ্য, রাজা সালমান মসজিদে নববীর ইমাম শেখ হুসেইন বিন আব্দুল আজিজকে এবার হজের খুতবা পড়ার দায়িত্ব দিয়েছে ।