বার্তা সংস্থা ইকনা: আজ (সোমবার) ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আল-নাখালা রাজধানী তেহরানে সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বাহিনীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিজয়ের প্রধান কারণ হচ্ছে ফিলিস্তিদের প্রতিরোধ এবং এই প্রতিরোধ ভবিষ্যতে আরো বিজয় ছিনিয়ে আনবে। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ ইহুদিবাদী সরকারের পতন অব্যাহত থাকবে। তিনি ফিলিস্তিনি নেতাদেরকে আশ্বস্ত করে বলেন, “চূড়ান্ত বিজয় নিকটবর্তী।”
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ফিলিস্তিনিরা বিশাল বিজয়ের পথে রয়েছেন; এর মধ্যে প্রধান বিজয় হচ্ছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধকামী সংগঠন ও সাধারণ মানুষ ইহুদিবাদী ইসরাইল সরকারকে নতজানু হতে বাধ্য করেছেন। এ সময় তিনি গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী সেনাদের ব্যর্থ আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগের দুটি যুদ্ধের মধ্যে ২২ দিন পর একটিতে এবং অন্যটিতে ৮ দিন পর যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়। কিন্তু সর্বশেষ যে আগ্রাসন চালিয়েছে তাতে তারা দুদিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করতে বাধ্য হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে ইহুদিবাদীরা নতজানু হতে বাধ্য হয়েছে।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব নাকালা বলেন, নিজেকে রক্ষার জন্য গাজাবাসাী উঁচু মাত্রায় প্রস্তুত রয়েছে এবং তাদের সেই প্রস্তুতি সাম্প্রতিক মাসগুলোর ‘গ্রেট মার্চ অব রিটার্ন’ আন্দোলনে ফুটে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো এখন তাদের শক্তি ও প্রস্তুতির শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। নতুন করে কোনো যুদ্ধ শুরু হলে তেল আবিবসহ ইসরাইলের সমস্ত শহর ও অবৈধ ইহুদি বসতিগুলো ফিলিস্তিনি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে আসবে।