IQNA

ট্রাম্পের রাজনৈতিক চালবাজিতে প্রতারিত হবে না ইরান: সর্বোচ্চ নেতা

22:06 - June 04, 2019
সংবাদ: 2608670
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, তার দেশের সরকার ও জনগণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক চালবাজিতে প্রতারিত হবে না। তিনি আজ (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তেহরানের অদূরে ইমাম খোমেনী (রহ.)’র মাজারে সমবেত লাখ লাখ জনতার সমাবেশে দেয়া ভাষণে এ মন্তব্য করেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ ভাষণ দেন তিনি।

পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন প্রশাসন বর্তমানে এমন একটি আবহ সৃষ্টির চেষ্টা করছে যে, ওয়াশিংটন ইরান-বিদ্বেষী নীতি পরিহার করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এ প্রচেষ্টাকে ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক চালবাজি হিসেবে অভিহিত করে তিনি এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য ইরানের সরকার ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী উদাহরণ হিসেবে সম্প্রতি জাপান সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন। ওই বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন ইরানের শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে চায় না বরং বর্তমান শাসনব্যবস্থা ও নেতারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই ইরান একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হতে পারে। সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট একথা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, “আমরা ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে মেনে নিয়েছি।” কিন্তু সাবধান! এটি ট্রাম্পের রাজনৈতিক চালবাজি এবং এই খেলায় পা দেয়া যাবে না।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইসলামি ইরানের সরকার ও জনগণকে এ ধরনের চালবাজি দিয়ে প্রতারিত করা যাবে না। মার্কিনীদেরকে ইরান থেকে দূরে থাকতে হবে। তিনি বলেন, এই আমেরিকা যেখানেই পা রেখেছে সেখানেই যুদ্ধ, বিদ্রোহ, শোষণ কিংবা সাম্রাজ্যবাদ চাপিয়ে দিয়েছে। কাজেই ইরানি জনগণ এর কোনোটিই মেনে নিতে প্রস্তুত নয়।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার ভাষণের অন্য অংশে বলেন, চলতি বছর বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে বিশ্ব কুদস দিবসের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র বিশাল ব্যক্তিত্বের প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণের কারণে বিশ্বব্যাপী তার আহ্বানে এ সাড়া পড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ইমামের ব্যক্তিত্বে এমন কিছু বিরল বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় আল্লাহ তায়ালা ঘটিয়ে দিয়েছিলেন যা বিশ্বের খুব কম নেতার চরিত্রে পাওয়া যায়। তিনি ছিলেন, সাহসি, প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী। সেইসঙ্গে ইমাম ছিলেন খোদাপ্রেমে মশগুল একজন খাঁটি ঈমানদার ও পরহেজগার ব্যক্তিত্ব। জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করা ইমাম খোমেনীর পক্ষে সম্ভব ছিল না। ইরানে সাবেক স্বৈরাচারী শাহ সরকারের জুলুম ও নির্যাতন থেকে দেশের জনগণকে মুক্তি দিতে তিনি ইসলামি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরো বলেন, ইমাম খোমেনী ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী নেতা। মজলুম জনতার অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন তিনি। আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম ছিল তার মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার ভাষণে বলেন, ইমামের এসব চারিত্রিক মাধুর্য ও বৈশিষ্ট্যের কারণে শুধু ইরান নয় সারা বিশ্বে তিনি জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন যার প্রভাব আজও বিদ্যমান।  iqna

captcha