বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: গত এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী সরকার বিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দি করে।
তবে বিক্ষোভরত জনতা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণকেও ভালো চোখে দেখেনি। তারা ক্ষমতাসীন সেনা পরিষদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। তবে গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারী নেতারা রাজনৈতিক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে সামরিক পরিষদের সঙ্গে এক সমঝোতায় পৌঁছায়।
সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক পরিষদের সদস্য জেনারেল জামাল ওমর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেন, সেনাবাহিনী ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কিছু বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিলেন। তবে নিয়মিত সামরিক বাহিনী সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা কবে হয়েছে কিংবা তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বশিরের অনুকূলে অভ্যুত্থান করতে চেয়েছিলেন কিনা জানাননি জেনারেল ওমর।
আটক ১২ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে পাঁচজন অবসরপ্রাপ্ত বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া, নিরাপত্তা বাহিনী অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মূল হোতাকে ধরার চেষ্টা করছে। জেনারেল জামাল ওমর বলেন, গত সপ্তাহে বেসামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যে সমঝোতা হয়েছে তা ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। iqna