IQNA

হিজাব পরাকে ধর্মীয় স্বাধীনতা হিসেবে উল্লেখ করে অনুমতি দিয়েছে আর্জেন্টিনার আদালত

15:15 - September 16, 2019
সংবাদ: 2609247
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৪০০ বর্গকিলোমিটারের দেশ আর্জেন্টিনা। দেশটি বিশ্বব্যাপী ফুটবলের জন্য জনপ্রিয় ও পরিচিত। ল্যাটিন আমেরিকার সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশও এটি। দেশটিতে বসবাস করে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিম।

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সাড়ে ৪ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে প্রায় ২ শতাংশ মানুষই মুসলিম। এছাড়াও রোমান ক্যাথলিক ৯২ শতাংশ, প্রটেস্ট্যান্ট ২ শতাংশ, ইহুদি ২ শতাংশ এবং অন্যান্য ৪ শতাংশ জনসংখ্যা বসবাস করে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ২০০৯ সালের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটিতে ৭ লাখ ৮৪ হাজার মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। অন্যদিকে ‘দ্য পিউ রিসার্চ সেন্টার’ ২০১০ সালে এক রিপোর্ট প্রকাশ করে তাতে আর্জেন্টিনার মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ উল্লেখ করা হয়।

আর্জেন্টিনায় মুসলমানদের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘দ্য ইসলামিক সেন্টার অব আর্জেন্টিনা’। ৩৪০০ বর্গমিটার জমির উপর সৌদি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মিত হয়। ২০০০ সালে এ মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের কাজ শেষ হয়।

মুসলিমদের জন্য আর্জেন্টিনায় কোনো জাতিগত বৈষম্য নেই। নেই কোনো হানা-হানি। ‘দি আর্জেন্টাইন ইনডিপেনডেন্ট’- পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘সিআইআরএ’-এর প্রতিনিধি আলেক্সিস আই সায়ের বলেন,

মুসলিমরা স্বাধীনভাবেই তাদের ধর্ম পালন করতে পারেন। সারাবিশ্বের মুসলমানরা যখন বৈষম্যের শিকার, তখন আর্জেন্টিনার মুসলমানরা বেশ ভালো আছেন। তবে এখানকার মুসলমানদের ইসলামি জ্ঞানের অভাব রয়েছে।

সর্বাধিক মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে যখন হিজাব পরে নারীরা জাতীয় পরিচয়পত্র কিংবা পাসপোর্টর জন্য ছবি তুলতে পারে না। পুরো বিশ্ব যখন হিজাব বিতর্কে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সম্মুখীন, সে সময়টিতে আর্জেন্টিনার আদালত মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধানের অনুমতি দিয়েছে।

এমনকি ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালতের এক রায়ে বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্রেও মুসলিম নারীরা হিজাব পরিহিত অবস্থায় ছবি দিতে পারবেন। আর্জেন্টিনার আদালত হিজাব পরাকে ধর্মীয় স্বাধীনতা হিসেবে উল্লেখ করে অনুমতি দিয়েছে। এমটি নিউজ ২৪

captcha