IQNA

সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

21:20 - October 19, 2016
সংবাদ: 2601797
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ(সা.) বলেছেন, নামাহরামদের থেকে তোমাদের চোখ ফিরিয়ে নাও, সালামের জবাব দাও, অন্ধদের পথ দেখাও এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ কর।

বার্তা সংস্থা ইকনা: যা কিছু শরীয়ত এবং বিবেকবুদ্ধি গ্রহণ করে তাই হচ্ছে ভাল কাজ। আর যা কিছু শরীয়ত এবং আকল তথা বুদ্ধিমত্তার নিকট অপছন্দনীয় তা খারাপ কাজ। সুতরাং সকল ওয়াজিব এবং মোস্তাহাব বিষয় হচ্ছে মারুফ বা ভাল কাজ। আর বিবেক ও শরীয়তের দৃষ্টিতে যা খারাপ সে সকল কাজই হচ্ছে হারাম এবং মকরুহ।
রাসূল(সা.) বলেছেন: জিবরাইল আমাকে বলেছেন, হে আহমাদ! ধর্মের ১০টি গৌণ ভিত্তি(ফুরুয়ে দিন) আছে আর যারা তা পালন করবে না  তারা ক্ষতিগ্রস্ত। ৬ষ্ট হচ্ছে হিজাহ, যা মানুষকে সম্মানিত করে। সপ্তম হচ্ছে সৎ কাজের আদেশ, যা মানুষের প্রতিজ্ঞা। আর অষ্টম হচ্ছে অসৎ কাজের নিষেধ করা।
রাসূল(সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি কোন খারাপ কাজ ঘটতে দেখবে তার উচিত সেটাকে হাত দিয়ে প্রতিহত করা, যদি সম্ভব না হয় তাহলে মুখের ভাষায় প্রতিহত করা আর তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তর দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে।
ইমাম আলী(আ.) বলেছেন: অন্যায় কাজের বিরোধিতা করার নুন্নতম পর্যায় হচ্ছে, গোনাহগারের দিকে রাগন্বিতভাবে তাকানো এবং নিজের বিরোধিতা প্রকাশ করা।
আবু বাসির ইমাম জাফর সাদিককে বলেন: পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, «ءَامَنُواْ قُواْ أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِیكُمْ نَاراً»  তোমার নিজেকে এবং তোমার পরিবারকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, এটা কিভাবে সম্ভব? ইমাম বললেন: আল্লাহ যা করতে বলেছেন, তুমি ও তোমার পরিবার তাই করবে আর যা নিষেধ করেছেন তুমি ও তোমার পরিবার তা পরিত্যাগ করবে।
রাসূল(সা.) সাহাবিদেরকে বললেন: তোমরা চলাফেরার অধিকারকে বজায় রাখবে। প্রশ্ন করা হল, চলাফেরার অধিকার কি? রাসূল(সা.) বললেন: নামাহরামদের থেকে তোমাদের চোখ ফিরিয়ে নেয়া, সালামের জবাব দেয়া, অন্ধদের পথ দেখানো এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করা।

captcha