IQNA

ইমাম মাহদী (আ.) বিশ্ব মানবতার ঐক্যের প্রতীক

23:06 - December 13, 2016
সংবাদ: 2602150
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পৃথিবীর সকল ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষ একটি বিষয়ে ঐকমত্যপোষণ করে, আর তা হল শেষ জামানায় মানবতার মুক্তির বাণী নিয়ে একজন ত্রাণকর্তা ও মুক্তি দাতা আসবেন। তবে এ ত্রাণকর্তা ও মুক্তি দাতার পরিচয় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
ইমাম মাহদী (আ.) বিশ্ব মানবতার ঐক্যের প্রতীক
বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম মাহদী (আ.) সকল ধর্ম ও মতাদর্শের মধ্যে ঐক্যের কেন্দ্র বিন্দু। কারণ প্রায় সব ধর্ম ও মতাদর্শের মধ্যেই এমন আকিদা ও বিশ্বাস রয়েছে যে, যখন পৃথিবী শেষ জামানায় পৌঁছে যাবে তখন মানব জাতিকে জুলুম ও অবিচার থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে একজন ত্রাণকর্তা ও মুক্তি দাতা আসবেন। এক্ষেত্রে ধর্ম ও মতাদর্শের মধ্যে কোন মতভেদ নেই।

মুসলিম মাযহাবসমূহ বিশেষত শিয়া ও সুন্নি মাযহাবের অনুসারীরা রাসূলের (সা.) বর্ণিত হাদীসের আলোকে এমন আকিদাপোষণ করে যে, শেষ জামানায় রাসূলের (সা.) বংশধর থেকে ইমাম মাহদী (আ.) নামে এক মুক্তি দাতা আসবেন। এ মুক্তি দাতার নাম ও উপাধি হবে রাসূলের (সা.) নাম ও উপাধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শুধু তাই নয় তিনি রাসূলেরই (সা.) বংশধরের একজন। কিন্তু এক্ষেত্রে পার্থক্য হচ্ছে শিয়া মাযহাব আকিদাপোষণ করে যে, ইমাম মাহদী (আ.) বর্তমানে আল্লাহ নির্দেশে অদৃশ্যে আছেন এবং তিনি সব কিছুই পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি সবাইকে দেখতে পারেন কিন্তু কেউ তাকে দেখতে পায় না। যখন আল্লাহর নির্দেশ জারি হবে তখন তিনি আবির্ভূত হবেন এবং এ পৃথিবীকে ন্যায় ও ইনসাফে পরিপূর্ণ করবেন। পক্ষান্তরে সুন্নি মাযহাবের অনুসারীরা এমন বিশ্বাস করে যে, ইমাম মাহদীর (আ.) এখনও জন্ম হয় নি এবং তিনি শেষ জামানায় জন্ম গ্রহণ করবেন। কিন্তু তাদের এ বিশ্বাসের সাথে রাসূলের (সা.) বর্ণিত হাদীসের সাথে সাজুয্য বজায় রাখে না। কেননা রাসূলের (সা.) হাদীস অনুযায়ী ইমাম মাহদী হলেন রাসূলের (সা.) দ্বাদশতম বংশধর। এক্ষেত্রে শেষ জামানায় জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তি কখনও রাসূলের (সা.) দ্বাদশতম বংশধর হতে পারেনা না; বরং কয়েক হাজারতম বংশধর হবেন তিনি।
captcha