IQNA

মহানবীর(সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই কল্যাণ ও সফলতা নিহিত

22:38 - December 07, 2017
সংবাদ: 2604496
মহানবী হজরত মুহম্মাদ (সা.) ছিলেন সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য এক অনুপম আদর্শ। তিনি ছিলেন শিশুর আদর্শ, যুবকের আদর্শ, সৈনিকের আদর্শ, সেনাপতির আদর্শ, স্বামীর আদর্শ, পিতার আদর্শ, নানার আদর্শ, ব্যবসায়ীর আদর্শ, শিক্ষকের আদর্শ ও রাষ্ট্রনায়কের আদর্শ।

মহানবীর(সা.) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই কল্যাণ ও সফলতা নিহিত

 

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: রাসুল (সা.) ছিলেন সৃষ্টির সেরা মানুষ। নিরপেক্ষ ঐতিহাসিকরাও অকপটে স্বীকার করেছেন যে মুহাম্মাদ (সা.) সর্ব কালের, সর্ব যুগের শ্রেষ্ঠ মহামানব। রাসুল (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। (সুরা কালাম- ৪)। অর্থাৎ নৈতিক চরিত্রের সর্বোচ্চ মানের ওপর আপনি অধিষ্ঠিত।

রাসুল (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছেন সচ্চরিত্রের বিকাশ সাধনের লক্ষ্যে। রাসুল (সা.) বলেছেন,  আমাকে সচ্চরিত্রের পূর্ণতা সাধনের নিমিত্তই প্রেরণ করা হয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নৈতিক চরিত্রের মান নিয়ে মক্কার মুশরিকদেরও অভিযোগ ছিল না। তাঁর বিশ্বস্ততা ও উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তাদের ছিল না কোনো দ্বিমত। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নৈতিক চরিত্রের সর্বোত্তম সংজ্ঞা হযরত আলী(আ.) বলেছেন, কুরআনই ছিলো তাঁর চরিত্র।

রাসুলুল্লাহ (সা.) দুনিয়ার তাবৎ মানুষের সামনে শুধু কুরআনের শিক্ষাই পেশ করেননি। বরং তিনি নিজেকে কুরআনের জীবন্ত নমুনা হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। কুরআন মজিদে যে নৈতিক গুণাবলীকে উৎকৃষ্ট কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেসব গুণে তিনি ছিলেন পরিপূর্ণ গুণান্বিত।

রাসুলে করিম (সা.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে সবার জন্য অনুসরণীয় ও মুক্তির কাণ্ডারি হিসেবে। আল্লাহর ভালবাসা প্রাপ্তি মহানবীর পরিপূর্ণ আনুগত্য ও অনুসরণের ওপর নির্ভরশীল।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন: হে রাসুল! তুমি লোকদের বলে দাও, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো। তাহলে আল্লাহও তোমাদের ভালবাসবেন। (আলে ইমরান- ৩১)। শাবিস্তান

 

 

 

captcha