IQNA

রমজানের আধ্যাত্মিকতা থেকে উপকৃত হওয়া মু’মিনের দায়িত্ব

23:54 - June 02, 2018
সংবাদ: 2605898
মাহে রমজান আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় মাস। এ মাসকে বান্দাদের জন্য ইবাদত-বন্দেগীর বসন্তকাল হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। এ মাসে আল্লাহ শয়তানকে শিকল দিয়ে বন্দি করেন এবং বান্দাদের জন্য রহমত ও মাগফেরাতের দরজা খুলে দেন। আর এ মাসে যারা আল্লাহর দরবারে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয় তারা নবজাতক শিশুর ন্যায় পুত:পবিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

 

বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বিশিষ্ট আলেম হযরত আয়াতুল্লাহ নাসেরি আজ পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে বলেন: মাহে রমজান এমনই ফজিলতপূর্ণ মাস যে মাসে পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। এ মাসেই আল্লাহ লাইলাতুল কদর তথা শবে কদরের রাতকে নির্ধারণ করেছেন। পবিত্র কোরআনের ঘোষণামতে যে রাত হলো হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ ও ফজিলতপূর্ণ। এ মাসের শেষেই রয়েছে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় আনন্দ ও উৎসবের দিন ঈদুল ফিতর। তাই সব দিক থেকে বিবেচনা করলে এটা সুস্পষ্ট হয়ে যাবে যে, রমজান মাসের মত ফজিলত ও বরকতপূর্ণ মাস বছরে আর দ্বিতীয়টি নেই।

তিনি বলেন: রমজানের মাসের ফজিলত এতই অধিক যে, আল্লাহ এ মাসের প্রবেশের জন্য পবিত্র রজব ও শাবান মাসকে নির্ধারণ করেছেন। যাতে বান্দারা এ দু'মাসে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করে রমজান মাসে প্রবেশ করতে পারে। তাই প্রত্যেক মু'মিন ও ধর্মপ্রাণ বান্দার উচিত এ ফজিলত ও বরকতপূর্ণ মাসে আল্লাহর নাফরমানী ও গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আর এটাই রমজান মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হিসেবে পরিগণিত।

captcha