বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সূরা মায়েদার দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا لَا تُحِلُّوا شَعَائِرَ اللَّهِ وَلَا الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَلَا الْهَدْيَ وَلَا الْقَلَائِدَ وَلَا آَمِّينَ الْبَيْتَ الْحَرَامَ يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنْ رَبِّهِمْ وَرِضْوَانًا وَإِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوا وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآَنُ قَوْمٍ أَنْ صَدُّوكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَنْ تَعْتَدُوا وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
হে মুমিনগণ! হালাল মনে করো না আল্লাহর নিদর্শনসমূহ এবং সম্মানিত মাসসমূহকে এবং কুরবানির জন্যে কাবায় পাঠানো জন্তুকে এবং ঐসব জন্তুকে, যাদের গলায় কণ্ঠাভরণ রয়েছে এবং ঐসব লোককে যারা সম্মানিত গৃহ বা কাবাঘর অভিমুখে যাচ্ছে, যারা স্বীয় পালনকর্তার অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করে। অবশ্য যখন তোমরা এহরাম থেকে বের হয়ে আসবে, তখন শিকার করতে পার। হে মুমিনগণ! যারা পবিত্র মসজিদ তথা মক্কায় প্রবেশে তোমাদেরকে বাধা দিয়েছিল, সেই সম্প্রদায়ের শুত্রুতা যেন তোমাদেরকে অবিচার বা সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। হে মুমিনগণ! সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
এ আয়াতে এটাও স্পষ্ট করা হয়েছে যে সমবায় ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। সামাজিক, পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবনে এর গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু অন্য সম্প্রদায়গুলোর বিপরীতে মুসলমানদের জন্য ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার একমাত্র ভিত্তি হলো সৎকাজ ও খোদাভীতি, জুলুম ও অন্যায়, পাপাচার নয়। ইসলামহীন সমাজগুলোর বেশিরভাগই এ কথা বলে যে, নিজের বন্ধু, ভাই ও স্বদেশীকে সাহায্য কর তা সে জালেম বা মজলুম যাই হোক না কেন!
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: وَالله فی عَونِ المُِومِنُ ما کانَ المومِنُ فی عَونِ اخیِه؛ মহান আল্লাহ তার ঐ বান্দাদেরকে সাহায্য করেন যারা তাদের দ্বীনি ভাইদেরকে সাহায্য করেন।