IQNA

উইঘুর মুসলিমদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান

20:34 - March 30, 2019
সংবাদ: 2608230
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুসলিম নির্যাতনের বিষয়ে চীনের কাছে জবাবদিহিতা চাইতে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। আগামী সপ্তাহে জাসিন্দার চীন সফর উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি এ আহ্বান জানায়।

বার্তা সংস্থা ইকনা: ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলায় ৫০ জন মুসল্লি নিহত হওয়ার দু সপ্তাহ পরই চীন যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন।

এ সফর উপলক্ষে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, ক্রাইস্টচার্চে হামলার পর জাসিন্দা আরডার্ন যেভাবে মুসলমানদের অধিকার বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে, বেইজিংয়েও তার এ অবস্থানের পুণরাবৃত্তি করা উচিত।

চীন সরকার দেশটির ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখেছে বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে। বন্দিশিবিরে মুসলমানদের শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জাসিন্দা আরডার্নকে অনুরোধ জানিয়েছে, বন্দিশিবিরে আটক মুসলিমদের নির্যাতন বন্ধ এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদেরশিনজিয়াং প্রদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানে তিনি যেন চীন সরকারের কাছে জোরালো দাবি জানান।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটি জানিয়েছিল, চীন সরকার দেশটির ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখেছে। চীনের জাতিগত উইঘুর মুসলমানদের বেশিরভাগ সেদেশের শিনজিয়াং প্রদেশে বসবাস করেন। প্রদেশের শতকরা প্রায় ৪৫ ভাগ জনগোষ্ঠী উইঘুর সম্প্রদায়ের।

শিনজিয়াংয়ের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ব্যাপক হারে আটক করা হচ্ছে বলে গত কয়েক মাস ধরে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের ওই কমিটির কাছে নানা তথ্যচিত্র তুলে ধরে দাবি করেছে, চীনা মুসলমানদেরকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

উইঘুর মুসলমানদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস বলেছে, বন্দিদেরকে কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই আটকে রাখা হচ্ছে এবং সেখানে তাদেরকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শ্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। বন্দিদেরকে ঠিকমতো খেতে দেয়া হয় না এবং ব্যাপকভাবে নির্যাতন করা হয়। iqna

 

captcha