তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী তেহরানে কাসেম সোলাইমানির শাহাদাতের চেহলামের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
হোসেন সালামি আরও বলেন, যেখানেই মানুষ নির্যাতিত হতেন কাসেম সুলাইমানি ও তার যোদ্ধারা সেখানেই উপস্থিত হতেন এবং জালিমদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন। তিনি ও তার বাহিনী গোটা মুসলিম উম্মাহর ঢাল হিসেবে কাজ করেছেন।
আইআরজিসি'র কমান্ডার আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে লেবাননের যুদ্ধের সময় জেনারেল সোলাইমানি ময়দানে উপস্থিত ছিলেন। তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে ছিল। জীবনের ঝুঁকি নেয়াই ছিল তাঁর শিল্প।
আইআরজিসি'র কমান্ডার ইসরাইলের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি ইহুদিবাদী ইসরাইলকে বলছি তোমরা যদি একটু ভুল করো তাহলে তোমাদের উভয়কে অর্থাৎ আমেরিকা ও ইসরাইলকে একসঙ্গে আঘাত করা হবে। ইসরাইলি এক কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন, তারা সিরিয়া ও ইরাকে ইরানিদের হত্যা করার জন্য কাজ ভাগ করে নিয়েছে।
শহীদ সোলাইমানি ৪০ বছর ধরে জিহাদ করেছেন
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি'র প্রধান বলেছেন: জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ৪০ বছর ধরে জিহাদি পোশাক পরে ছিলেন এবং সবসময় হিজরত করতেন। তিনি ছিলেন এই অঞ্চলে জিহাদ ও শাহাদাতের বিদ্যালয়ের পুনরুদ্ধারকারী। কাসেম জানতেন যে, জিহাদ একটি মর্যাদার পোশাক এবং যদি কোন গোত্র জিহাদের পোশাক খুলে ফেলে, তাহলে মহান আল্লাহ সেই গোত্রকে অপমান ও হীনতা পোশাক পরিয়ে দেন। কীভাবে ইসলাম ও ইসলামের নামকে উজ্জ্বল ও রক্ষা করতে হবে, তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন।
মেজর জেনারেল হোসেন সালামি আরও বলেছেন: তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতের উপর সর্বদা নির্ভরশীল ছিলেন: «الْآمِرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَالنَّاهُونَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَالْحَافِظُونَ لِحُدُودِ اللَّهِ» -সৎকর্মের নির্দেশ দানকারী, অসৎ কর্ম হতে নিষেধকারী, আল্লাহর সীমারেখার সংরক্ষণকারী- (সূরা: তাওবা, আয়াত ১১২) যখনই কারো সামনে যেতেন, বলতেন: “আপনার জন্য উৎসর্গ হবো”। তিনি সত্যি বলতেন। কারণ, মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে তিনি ভালোবাসতেন। iqna