ভারত সরকার মুসলিম এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু বৈষম্যমূলক আইন ও নীতি গ্রহণ করা করছে। এই অভিযোগ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (HRW) তুলে ধরেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর প্রতিবেদনটি ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ নয়াদিল্লীতে সহিংসতার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে। এ দিনে সহিংসতার ফলে ৪০ জন মুসলমানসহ ৫৩ জন নিহত হন। ২০১৯ সালে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পরে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ভারতে অভিবাসী মুসলমানদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
এই আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে যে সকল হিন্দুরা ভারতে প্রবেশ করেছে তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু মুসলমানদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: কর্তৃপক্ষ বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্ত চালানোর পরিবর্তে এই আইনের প্রতিবাদ যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন: নরেন্দ্র মোদীর দল কেবলমাত্র মুসলমান এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতেই ব্যর্থ হয়নি, বরং ধর্মান্ধ আন্দোলনে রাজনৈতিক সমর্থনও দিয়েছে।
মোদীর সমালোচনা করে মানবাধিকার কর্মী কবিতা কৃষ্ণনা বলেন: আমরা প্রতিদিন মুসলমান, শিখ এবং খ্রিস্টানদের লক্ষ্য করে আক্রমণ ও ধর্মান্ধ আচরণের অনেকগুলি ঘটনা দেখতে পাচ্ছি। গত ছয় বছরে সহিংসতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার এর সমর্থন করছে। iqna