মানুষের কাছে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং মিডিয়ার ভুল ধারণা দূর করতে গত বছর আগস্টে তার যাত্রা শুরু হয়। যখন ইউরোপে মিডিয়া মুসলিম ও তুর্কিবিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছিল। কারাজা পাক বলেন, ‘ইসলামভীতি বিশ্বে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যের দুয়ার খুলে দিচ্ছে। সচেতনতা বাড়াতে আমি আমার বাইকে চড়ে ইউরোপ থেকে তুরস্কে এসেছি। আমি বহু ইউরোপীয় দেশে ভ্রমণ করেছি এবং মানুষদের বলেছি মুসলিমদের ব্যাপারে অপপ্রচারগুলো ভুল।’
তিনি আরো বলেন, ‘বহু ইউরোপিয়ান জানেন মুসলিমরা তাদের বিরোধী নয়। তারা মুসলিমদের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখেন। আবার অনেকে মিডিয়ার অপপ্রচারের কারণে মুসলিমদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন।’ কারাজা পাক বিশ্ববাসীকে মুসলিম ও তুর্কি সংস্কৃতি সম্পর্কে জানাতে চান। কেননা তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তার ভাষায়—‘মুসলিমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে চাকরি পেতে বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে তারা সমস্যার মুখোমুখি হয়। আমাদের মসজিদগুলো বছরে চার শর বেশি আক্রমণের শিকার হয়। এর সমাধান হলো নিজেদের পরিচয় তুলে ধরা এবং নিজেদের প্রকাশ করা। আমি তাদের আমাদের মানবিকতা ও চারিত্রিক মাধুর্য দেখাতে চাই, যারা আমাদের জানে না।’
৪৭ বছর বয়সী কাজারা পাক বাইকে মোঙ্গলিয়া থেকে তুরস্কে সফরের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের পূর্বপুরুষদের ভূমিতে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার সফর করতে চাই। আমরা যেখানেই যাই না কেন সেখানে বর্ণবাদ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলব এবং বহু মানুষ আমাদের সঙ্গী হবে।’
সূত্র : আনাদুলু এজেন্সি