বার্তা সংস্থা ইকনা: সিরিয়ায় যুদ্ধ চলার কারণে হযরত আদম (আ.)এর দ্বিতীয় ছেলে হযরত হাবিলের মাযার দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল (৭ম জানুয়ারি) জিয়ারতকারীদের উদ্দেশ্যে পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে।
দামেস্কের ৫০ কিলোমিটার অদূরে কাসিউম পাহাড়ে ১৬ শতাব্দীর শেষে হযরত হাবিলের মাযার নির্মাণ করা হয়েছে। এই মাযারের পাশে একটি মসজিদও নির্মাণ করা হয়েছে।
এই মাযারের পরিচালক মুহাম্মাদ মুখলাফ মুহাম্মাদ বলেন: এই মাযারটির পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও এখানে বিদ্যুৎ সংযোগেরও প্রয়োজন রয়েছে।
হযরত আদম (আ.) ও হযরত হাওয়ার দ্বিতীয় ছেলে সন্তান হযরত হাবিল। মুফাস্সেরগণ তাকে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত হাবিল, আদম (আ.)এর প্রতিনিধি হিসেবে নির্ধারিত হয়েছিলেন। এদিকে কাবিল, হযরত আদম (আ.)এর বড় সন্তান ছিলেন। তিনি এই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এ বিষয়ে (হযরত আদমের (আ.) প্রতিনিধি নির্ধারণ) তিনি আপত্তি করেন।
তার আপত্তির ফলে হযরত আদম (আ.) তাদেরকে (হাবিল ও কাবিলকে) বলেন: তোমা দু'জনই মহান আল্লাহর জন্য কুরবানি করো। তোমাদের মধ্যে যার কুরবানি আল্লাহ গ্রহণ করবেন, সে আমার প্রতিনিধি হবে। দু'জনই কুরবানি করেন। কিন্তু কাবিলের কুরবানি কাবুল হয়নি। মহান আল্লাহ হযরত হাবিলের নিঃস্বার্থ নিয়তের জন্য তার কুরআনিক কাবুল করেন। এর ফলে হযরত হাবিলের উপর কাবিল ঈর্ষান্বিত হয় এবং তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেই। পরবর্তীতে তাকে হত্যা করে। পবিত্র কুরআন হাবিল নাম ব্যক্ত হয়নি। তবে হযরত আদম (আ.)এর দুই সন্তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হাবিল ও কাবিলের ঘটনাটি সূরা মায়েদায় ব্যক্ত হয়েছে। তাওরাতেও হাবিল ও কাবিলে ঘটনার সম্পর্কে ইশারা করা হয়েছে।
iqna