বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন জন শিক্ষার্থীকে এক বর্ণবাদী গুলি করে হত্যা করে।
২০১৫ সালে ক্যালোলিনার চাপেল হিলে জিয়া বারাকাত (২৩) নামের এক মুসলিমের বাড়িকে টার্গেট করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে ঘাতক ক্রেইগ স্টিফেন হিকস। এতে বাড়িওয়ালা, তার স্ত্রী ইয়ুসরা আবু সালেহ (২১) এবং তার (স্ত্রীর) বোন রাজিন আবু সালেহা নিহত হন।
জিয়া বারাকাত ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দন্তচিকিৎসা বিভাগে অধ্যয়নরত ছিলেন। বাকি দুজন একই প্রতিষ্ঠানের অন্য দুটি বিভাগে পড়তেন। নিহত হওয়ার মাত্র দুই মাস আগে ইয়ুসরা আবু সালেহকে বিয়ে করেছিলেন জিয়া বারাকাত।
এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ নিহতদের প্রতিবেশী ক্রেইগ স্টিফেন হিকসকে গ্রেফতার করেছে।
স্টিফেন হিকস দাবী করেছে, গাড়ি পার্ক করা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় এবং এর সূত্র ধরে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে। এদিকে নিহতদের পরিবার এই ঘটনাকে ধর্মীয় সহিংসতার কারণে ঘটানো হয়েছে বলে দাবী করেছে।
বুধবার (১২ই জুন) আদালত এই ঘাতককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। নিহতদের পরিবারের আইনজীবী “জু জাশায়ের” এই রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন: এই রায়ের মাধ্যমে নিহতদের পরিবারের আবেগে আঘাতপ্রাপ্ত করা হয়েছে। আমাদের সরকার এই পরিবার এবং বহুসংস্কৃতির গণতন্ত্রের প্রতি জুলুম করেছে।
এর রায় দীর্ঘ চার বছর পর প্রদান করা হয়েছে। রায় অনেক দেরীতে দেয়ার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানেরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামিক কর্মী “ওমর সুলাইমান বলেছেন: আজ ঘাতকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। কিন্তু সে আমাদের মধ্যে উত্তম তিন জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে এবং তাদের পরিবারকে ধ্বংস করেছে। iqna